সাজেকে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ মায়াবী সৌন্দর্য্য। সাজেক আসলে আপনার দেহ, মন, প্রাণ পুলকিত হবে এক বিশুদ্ধ চিন্তা আর অনুভূতিতে। মেঘের রাজ্য সাজেক – এ সাদা তুলোর মত শুভ্র মেঘ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সাজেক এমন একটি স্থান যেখানে একই দিনে কয়েক রকম রূপের সান্নিদ্য পাবনে আপনি। প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে রিসোর্টে বসে মেঘের খেলা দেখার আদর্শ জায়গা হল সাজেক ভ্যালী। সাজেক ভ্রমণে প্রধান আকর্ষন গুলো হল, সাপের মত আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে সাজেক আসা যা আপনাকে অন্যরকম রোলার কোষ্টারের অনূভূতি দিবে, সাজেকের সর্বোচ্ছ চূড়া কংলাক পাহাড়, সাজেকের সকাল, মেঘের খেলা, রংধনু ইত্যাদি। শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতই সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাজেক ভ্যালী।
- সাজেকের আসলে যা যা দেখবেন: রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হ্যালীপ্যাড, কমলক ঝর্ণা, ষ্টোন গার্ডেন, শিব মন্দির, ঝাড়ভোজ, সূর্য ঘড়ি।
- সাজেক আসার উপযুক্ত সময়:
চিরযৌবণা সাজেক ভ্যালী ( Sajek Valley ) সারা বছরই বিভিন্ন রকম বর্নিল সাজে সেজে থাকে আপনার জন্য। বছরের যেকোন সময়ে আপনি ভ্রমন করতে পারেন মেঘের রাজ্য সাজেক। তবে বর্ষা, শরৎ, হেমন্তে মেঘের আধিক্য বেশী দেখা যায়। হঠাৎ হঠাৎ মেঘের সাগরে হারাতে চাইলে এই সময়ে ভ্রমণ করতে পারেন। - এসকর্ট এর সময়: খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প থেকে সাজেক আসাএ জন্য প্রতিদিন সকাল ১০ টায় এবং বিকেল ০২ টায় আর্মির এসকর্ট শুরু হয়। এবং সাজেক থেকেও খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য একই সময়ে আর্মির এসকর্ট শুরু। এই এসকর্টের সাথেই আপনাকে আওতে হবে এবং যেতে হবে। কোনভাবে ১০টার এসকর্ট মিস করলে বিকেলের এসকর্ট –এর জন্য অপেক্ষা করতে আর বিকেলেরটা মিস করলে পরেরদিনের এসকর্ট-এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তা চেষ্টা করবেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাঘাইহাট পৌছাতে।
সাজেক ভ্রমণে যে বিষয় গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন
- সাজেক আসা এবং যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ি থেকে স্থানীয় শিশুদের চকলেট, বিস্কুট, টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারবেন না।
- স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে ছবি তোলার জন্য অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নিবেন।
- আদিবাসীরা অনেক সহজ সরল তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করবেন
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিছু বললে সেটা মনযোগ সহকারে শুনবেন। কারণ উনারা যা বলবেন তা পর্যটকদের ভালোর জন্যই বলবেন।
- স্থানীয় আদিবাসীদের সংস্কৃতির প্রতি অসন্মান করবেন না।
- এসকর্টের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে চলে আসবেন।
- আর্মিদের এরিয়ায় ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ, তাই সকল ক্যান্টনমেন্ট এবং ক্যাম্পে ছবি তোলা থেক বিরত থাকুন।
- সাজেকের রাস্তা অনেক আঁকাবাঁকা ও অনেক উঁচু নিচু তাই ভ্রমণে গাড়ির ছাদে ভ্রমণ না করাই উওম।
- সাজেকে শুধুমাত্র রবি, এয়ারটেলের এবং টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, তাই ভ্রমণের সময় এইগূলোর যেকোন একটা সঙ্গে রাখুন।
- আসার আগে অবশ্যই হোটেল / রিসোর্ট বুকিং দিয়ে আসবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সঙ্গে রাখবেন।
- ভ্রমণে গ্যাজেট সমূহ চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন।
- সাজেক ভ্যালীর সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশ রক্ষায় আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
ভ্রমণপিপাসুরা যুক্ত থাকুন চলো ঘুরি ফিরি ফেসবুক গ্রুপে।