স্বচ্ছ জলের বুকে ভেসে পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে চলে যান রাঙ্গামাটির পথে। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাঙ্গামাটি জেলা। লেক, বন-বনানী, ঝর্ণা আর সবুজ পাহাড়ে বেষ্টিত দেশের সর্ববৃহৎ এ জেলাটি প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর অপূর্ব এক স্থান।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি
- রাঙ্গামাটি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়: রাঙ্গামাটি একটি পর্যটক কেন্দ্র এবং এটি বাংলাদেশের সব থেকে বড় পার্বত্য জেলা। রাঙ্গামাটি প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। এই রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পর্যটক রাঙ্গামাটি ভ্রমনে আসে। এই রাঙ্গামাটি ভ্রমণের (Rangamati Tour) উপযুক্ত সময় হলো শীতের মৌসুম।
রাঙ্গামাটির প্রধান আকর্ষণীয় স্থান
- কাপ্তাই লেক: পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিক নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা। আর কাপ্তাই উপজেলা অনন্য …
- সাজেক ভ্যালি: সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley), বর্তমান সময়ে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য সাজেক। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক বাংলাদেশের …
- শুভলং ঝর্ণা: রাঙ্গামাটি সদর হতে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে শুভলং বাজারের পাশেই শুভলং ঝর্ণার অবস্থান। বাংলাদেশের অন্য সকল ঝর্ণার মত শুভলং ঝর্ণাতেও …
- ঝুলন্ত ব্রিজ: পর্যটনপ্রেমী মানুষের কাছে রাঙ্গামাটি জেলার একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পর্যটকদের মোহিত করতে রাঙ্গামাটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। এদের মধ্যে …
- ধুপপানি ঝর্ণা: রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়িতে গেলে দেখা মিলে অনিন্দ্য সুন্দর ধুপপানি ঝর্ণা (Dhuppani Waterfall)। ২০০০ সালের দিকে এক …
- হাজাছড়া ঝর্ণা: হাজাছড়া ঝর্ণা বা শুকনাছড়া ঝর্ণা (Hazachora Waterfalls/Shuknachara Falls) নামে পরিচিত জলপ্রপাতটি পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় …
- পলওয়েল পার্ক: রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে কাপ্তাই লেকের কোল ঘেঁসে তৈরি পলওয়েল পার্ক (Polwel Park) সৃজনশীলতার ছোঁয়ায় রাঙ্গামাটির অন্যতম সেরা বিনোদন কেন্দ্র …
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ টিপস ও সতর্কতা
একসঙ্গে দলগতভাবে গেলে খরচ কমে যাবে, অফ সিজনে ও ছুটির দিন ব্যাতিত গেলে খরচ কম হবে। ট্রলার বা বোট রিজার্ভ করার সময় কী দেখবেন, কোথায় যাবেন ভালো করে বলে নিন, রিজার্ভ করার সময় ঠিকমতো দরদাম করে নিতে হবে। লেকের কাছাকাছি কোনো হোটেল ঠিক করার চেষ্টা করুন। কোথাও কোথাও লেকের পানির গভীরতা অনেক, নামতে চাইলে মাঝিকে জিজ্ঞেস করে নিন। অহেতুক ঝুঁকি নেবেন না। একদিনেই বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে বেড়াতে পারবেন।স্থানীয়দের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন।
ভ্রমণ পিপাসুরা যু্ক্ত থাকুন চলো ঘুরি ফিরি ফেসবুক গ্রুপে।