কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত। একে “সাগরকন্যা” বলা হয়। কুয়াকাটা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়, যা বাংলাদেশের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

 

কিভাবে যাবেন

  • ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ৩৮০ কিমি। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে সড়কপথে বাসে অথবা লঞ্চে বরিশাল পৌঁছানো যায়। বরিশাল থেকে বাসে বা সরাসরি লঞ্চে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সরাসরি কুয়াকাটাগামী বাসও রয়েছে।
  • বরিশাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট নিয়ে সেখান থেকে বাস বা মাইক্রোবাসে সরাসরি কুয়াকাটায় যাওয়া যায়।

 

কোথায় থাকবেন

কুয়াকাটায় থাকার জন্য বিভিন্ন রিসোর্ট, হোটেল, গেস্ট হাউজ রয়েছে। আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী নির্দিষ্ট করে নিতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় হোটেল হলো:

  • কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল
  • সাগরকন্যা রিসোর্ট
  • নিরিবিলি রিসোর্ট

 

দর্শনীয় স্থানসমূহ

  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার মূল আকর্ষণ। এখান থেকেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একসঙ্গে দেখা যায়।
  • ফাতরার বন কুয়াকাটার রেড়ঙারের বনাঞ্চল। নৌকায় করে বনের ভেতর ঢুকে প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো যায়।
  • মিসরি পাড়া বৌদ্ধবিহার এই বিহারে গৌতম বুদ্ধের একটি প্রাচীন মূর্তি রয়েছে, যা দেখতে ভ্রমণকারীরা আগ্রহী হন।
  • কুয়াকাটা ইকোপার্ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিলনস্থল, ইকোপার্কের বাগান ও লেকটি বেশ সুন্দর।

 

খাবার

কুয়াকাটায় বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়, বিশেষ করে সমুদ্রের মাছ ও সামুদ্রিক খাবার খেতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে:

  • রাধুনী রেস্তোরাঁ।
  • সাগর কন্যা রেস্টুরেন্ট।
  • ঢাকা ভোজন রেস্টুরেন্ট।

 

ট্যুরের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • কোমরবন্ধ এবং নৌকার ভাড়াঃ সমুদ্রসৈকতে স্নান বা নৌকা ভ্রমণে গেলে ভাড়া সম্পর্কে আগে জেনে নিন।
  • যানজট এড়ানোঃ ছুটির দিনগুলোতে বেশ ভিড় থাকে, তাই সম্ভব হলে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় বেছে নিন।
  • সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতনতাঃ সৈকত এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থান পরিষ্কার রাখুন এবং আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ব্যবহার করুন।
  • মৌসুমের কথা বিবেচনাঃ শীতকালে ভ্রমণ করা আরামদায়ক হতে পারে, তবে বর্ষাকালে গেলে উপভোগে ভিন্নতা আসতে পারে।

 

কিছু দরকারী বিষয়

  • সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয় দেখতে সকালে/বিকেলে একটু আগে সৈকতে পৌঁছে যান।
  • পানির বোতল, সানস্ক্রিন, সানগ্লাস, হ্যাট নিয়ে যাবেন।
  • স্থানীয় খাবার চেখে দেখার পাশাপাশি কুয়াকাটার হস্তশিল্প বা সামুদ্রিক উপহার কিনে আনতে পারেন।

ভ্রমণপিপাসুরা যুক্ত থাকুন চলো ঘুরি ফিরি ফেসবুক গ্রুপে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *