সুন্দরবন ভ্রমণ একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। এই ভ্রমণটি বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিস্তৃত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল সুন্দরবন দেখার সুযোগ দেয়। এই অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য নদী, খাঁড়ি এবং ঘন জঙ্গল, যা প্রকৃতিপ্রেমী এবং ফটোগ্রাফারদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
সুন্দরবন ভ্রমণের পরিকল্পনা
- ভ্রমণের সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণের সেরা সময়, যখন আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শীতল থাকে।
- ভ্রমণের প্রধান গন্তব্য:
🔹কটকাঃ বাঘ ও হরিণ দেখার সম্ভাবনা বেশি। কটকার সৈকত এবং বনের মধ্যকার ট্রেইলগুলি অনেক আকর্ষণীয়।
🔹কচিখালীঃ সুন্দরবনের গভীর অংশে অবস্থিত এবং বন্যপ্রাণী দেখার জন্য জনপ্রিয়।
🔹হিরণ পয়েন্টঃ ডলফিন এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য পরিচিত। এটা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান। - অবস্থান এবং যাতায়াত ব্যবস্থা: সাধারণত মোংলা বা খুলনা থেকে নৌকা ভাড়া করে ভ্রমণ শুরু করা হয়। বিভিন্ন ধরণের নৌকা ও ক্রুজ পরিষেবা উপলব্ধ, যা পর্যটকদের সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
- ভ্রমণের সময়কাল: সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য ২-৩ দিনের একটি পরিকল্পনা ভালো। তবে অনেকেই ছোট ভ্রমণের জন্য ১ দিনের পরিকল্পনাও করে থাকেন।
- প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি:
🔹 পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড বিদেশী পর্যটকদের জন্য।
🔹 নৌকায় চলাচলের জন্য লাইফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম রাখা উচিত।
🔹 পানির বোতল, ওষুধ, এবং সানস্ক্রিন। বনভূমির ভেতরে পরিষ্কার পানি ও খাবারের সহজলভ্যতা নেই। - নিয়মকানুন মেনে চলা:
🔹সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোন প্রকার পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
🔹বন্যপ্রাণী এবং বনের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ বজায় রাখতে হবে।
ভ্রমণপিপাসুরা যুক্ত থাকুন চলো ঘুরি ফিরি গ্রুপে।